হাত কাটা পিক

হাত কাটা নিয়ে অনেকের অনেক রকম অভিজ্ঞতা আছে। অনেকের কাছেই হাত কেটে ভালবাসা দেখানো খুবই রোমান্টিক মনে হয়, এজন্য অনেকে হাত কাটা পিক বা হাত কাটা ছবি খুজে থাকে। নিজের হাত কাটার চাইতে গুগল থেকে কাটা হাতের ছবি ডাউনলোড করে গফ কে দেখানো আরো সহজ বলে কথা! মাছ ও ধরলাম আবার পানিও লাগলো না।

হাত কাটা রক্ত দেখে আপনার গফ খুশি হবে নাকি অজ্ঞান হবে তা আগে শিউর হয়ে নিয়েন। কারন অনেক মেয়েই রক্ত দেখে ভয় পায় এমনকি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
আর প্রেমিকা যদি ক্লাস সিক্সের নিব্বি হয় তাইলে তো সে বিশ্বাস ই করে ফেলবে আসল কাটা হাত! সে হইতো এখনো নেটের সব দিক ঘুরে দেখেনি তাই জানেও না এসব হাত কাটার পিক নেটে ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়।
হাত কাটা রক্তের ছবি দিয়ে ভালবাসা দেখানোর চাইতে কোন রুগীকে রক্ত দিন! সেবাও হবে গফও খুশি হবে!
ওয়াও আমার সোনাটা কত্ত সমাজ সেবা করেরে!

hat kata pic– হাত কাটা ছবি ফটো ডাউনলোড

লতে পারেন কোন বয়সের ছেলে মেয়েরা এমন কাটা কাটির ছবি খুজে বা এসবের মধ্যে ভালবাসা খুজে পায়? ১২ থেকে ২০ বছরের। লক্ষ্য করলে দেখবেন ১৬/১৮ বছরের কেউ এমন কাটা কাটি করে প্রেম দেখায় না। কারন কি জানেন? কারন তারা ইতিমধ্যে অনেক প্রেম অনেক ভালবাসার আসল কাহিনি, মূল অর্থ, কোন ভালবাসা কেমন, কিভাবে ভাল ভালবাসা দুজনের মধ্যে প্রকাশ করতে হয় এসব দেখে এসব সম্পর্কে তারা জানে এজন্য তারা অহেতুক হাত কেটে প্রেম উপস্থাপন করে না।
আপনার বয়স যদি এমন ইয়াং হয় মানে ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে তাহলে আপনার উচিত অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা, এই বয়সের ভুল এড়িয়ে চলা।
নিজের ক্ষতি করা বা প্রেমের জন্য মারামারি করা কিংবা ব্রেকাপ হলে গফের ক্ষতি করার চেষ্টা করা এগুলো অহেতুক এবং লস প্রজেক্ট। বিলিভ মি সব কিছু ডিলিট করে দেন, সব গিফট ফেলে দেন বা অন্য কাউকে দিয়ে দেন এরপর অন্য কিছুতে ব্যস্ত হয়ে যান তাহলে দেখবেন ৬মাসের মধ্যে সব ভুলে যাবেন। তখন এখনের কথা ভেবে হাসবেন!

হাত কেটে ফেললে কি করবেন?

প্রথম কথা হাত পা কাটাকাটি করলে সেটা ধারালো ভালো মানের নতুন ব্লেড দিয়ে করবেন! জং ধরা কিছু দিয়ে কেটে গেলে ইনফেকশন হতে পারে!
আর যদি হাত কেটেই ফেলেন তাহলে দ্রুত স্যাভ্লন দিয়ে ব্যান্ডেজ করবেন। বেশি কেটে গেলে ডাক্তারের কাছে যাবেন। ফার্মেসী গেলেও কাজ হতে পারে। তারাই ব্যান্ডেজ করে দিতে পারার কথা।
তবে একটা কথা মাথায় রাখা উচিত প্রেম ভালবাসার জন্য নিজের ক্ষতি করার মত বোকামি আর হয় না। হাত পা কাটার চাইতে কাউকে রক্ত দান করুন সেটা কাজে দিবে।
আপনার মা বাবা আপনাকে বছরের পর বছর ধরে বড় করছে আর আপনি ২/৩ বছর কিংবা কয়েক মাসের এক সম্পর্কের জন্য নিজের ক্ষতি করবেন কেন?
আপনার বাবা সারাদিন কষ্ট করে টাকা কামায় করে আপনাকে খাবার দিয়ে ঐ রক্ত জোগান দিছে, বাবার কষ্ট কমাতে কখনো রক্ত ঝরাতে ইচ্ছা করেছে? ঘাম ঝরিয়ে টাকা আয় করে তাদের চাপ কমাতে চেষ্টা করেছেন কখনো?
বিশ্বাস করেন ৭২ ঘণ্টা অন্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকেন দেখবেন অনেক কিছুই ইজি হয়ে গেছে।
আমরা ধৈর্য ধরতে চাই না এজন্য অনেকে আবেগে ভুল কাজ করে ফেলে।
সময় আছে সতর্ক হোন।
ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে হেটে আসুন। কোন পথ শিশু পেলে টাকে কিছু কিনে দিন। দেখবেন আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
দুনিয়াতে প্রেম ভালবাসা খুবই ছোট একটা বিষয়। এরচেয়ে আরো বড় আরো সুন্দর সুন্দর বিষয় আমাদের আশে পাশে আছে। সেগুলোর দিকে তাকান।