Home Blogs মৈত্রী এক্সপ্রেস

মৈত্রী এক্সপ্রেস

মৈত্রী এক্সপ্রেস বা ঢাকা-কলকাতা এক্সপ্রেস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় যাতায়াত করে। এটি , বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালি এক্সপ্রেস এই তিন ট্রেন দেশের মধ্যে চলাচল করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় ৫২ বৎসর পর। মৈত্রী শব্দের অর্থ হল বন্ধুত্ব। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পহেলা বৈশাখের দিন থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক এই ট্রেন পরিসেবা চালু করা হয়।

ঢাকা থেকে কলকাতার পথের মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সম্পূর্ণ ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’। বাংলাদেশের তৎকালীন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক শুক্রবার, ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭, সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে এই নতুন সেবার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়ে, ওখানেই অভিবাসন সম্পন্ন হয়, যদিও ভিসা সংগ্রহ করতে হয় ভারতীয় দূতাবাস থেকে আগে থেকেই। উপযুক্ত এবং সঠিক কাগজপত্র সহকারে ঢাকার কমলাপুর কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে টিকিট কেনা যায়।

পটভূমি

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য বঙ্গ প্রদেশের রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাকে বিভক্ত করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব বাংলার পাকিস্তানের প্রদেশ (পরে ১৯৫৬ সালে যার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান হয়) এর মধ্যে। অবিভক্ত ভারতের ওপর ব্রিটিশ শাসনের সময়, নিয়মিত রাত ব্যাপী ট্রেন চলাচল করত কলকাতা, গোয়ালন্দ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে। ইস্ট বেঙ্গল মেল, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস এবং বরিশাল এক্সপ্রেস – এই তিনটি ট্রেন, ১৯৬৫ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে নিজেদের পরিসেবা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ না ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চারিদিকে ছড়িয়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন লিঙ্ক এর অবসান ঘটায়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ফল স্বরূপ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয় জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসাবে। উপরে উল্লিখিত ট্রেন গুলোর মধ্যে প্রথম দুটো ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এর মতন একই রুট এ, গেদে এবং দর্শনা হয়ে চলাচল করত এবং বরিশাল এক্সপ্রেস, বনগাঁ ও যশোর এর মাধ্যমে চলাচল করত।

সীমিত মালবাহী সেবা কয়েক বছরের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করে, কিন্তু যাত্রী পরিষেবা শুধুমাত্র ২০০৮ সালে পুনর্জাগরিত হয়, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা ভ্রমনের পর। ২০০৭ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখ প্রথম ট্রেন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বহন করে, একটি পরীক্ষা চালানোর মধ্যমে কোলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলে।

২০০৮ এর অভিষেক

১৪ই এপ্রিল, ২০০৮ এ পয়লা বৈশাখ এর উপলক্ষে এই ট্রেন টি পুনরায় চালু করা হয় তূর্যনিনাদ এর সাথে। প্রথম ট্রেন টি চিত্পুর এর কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়ার সময় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন যেমন তখনকার ভারতীয় রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন রঞ্জন দাশমুন্সী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার লিয়াকত আলী চৌধুরী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা থেকে ঢাকা গামী উদ্বোধনী ট্রেন এর জন্য সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন। ওদিকে অন্য আরেকটি ট্রেন ঢাকা থেক যাত্রী নিয়ে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে কলকাতার উদ্দেশ্যে কিন্তু তার উদ্বোধনী যাত্রায় ৩৬০ জনের বসার উপযোগী গাড়ী, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ সহ মাত্র ৬৫ জন যাত্রী বহন করে। ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা বলেন যে ট্রেন তাড়াতাড়ি চালু করা হয়েছিল এবং যখন এই তথ্য চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে তখন একটি বড় প্রতিক্রিয়া হবে এবং যাত্রী সংখ্যাতেও বৃদ্ধি ঘটবে।

রেলপথে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে যাতায়াত করার অন্যতম বাহন হচ্ছে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন (Maitree Express Train)। যদিও ঢাকা হতে কলকাতা যাওয়ার সরাসরি বাস ও বিমান পরিষেবা চালু আছে তথাপি ট্রেন হল কম খরচে কলকাতা যাওয়ার সহজ ও আরামদায়ক একটি মাধ্যম। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের বর্তমান আসন সংখ্যা ৪৫৬ টি। অনেকের কাছে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা-কলকাতা এক্সপ্রেস নামেও পরিচিত।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন রুট

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে ষ্টেশন হতে যাত্রা শুরু করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে থামে। অনুরূপ ভাবে কলকাতা টার্মিনাল স্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকা আসে। ভায়া হিসেবে দর্শনা ও গেদে থাকে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা হতে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহের শুক্রবার (৩১০৭), শনিবার (৩১১০), রবিবার (৩১০৭) এবং বুধবার (৩১১০) কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর কলকাতা হতে শনিবার (৩১০৮), সোমবার (৩১০৮), মঙ্গলবার (৩১০৯) এবং শুক্রবার (৩১০৯) ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

যাত্রার স্টেশন ছাড়ার সময় গন্তব্য স্টেশন পৌছায়
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সকাল ৮ঃ১৫ মিনিট
(বাংলাদেশ সময়)
কলকাতা বিকেল ৪ টা
(ইন্ডিয়ান সময়)
কলকাতা সকাল ৭ঃ১০ মিনিট
(ইন্ডিয়ান সময়)
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বিকাল ৪ঃ০৫
(বাংলাদেশ সময়)

মনে রাখা জরুরী, ঢাকা হতে ৮ টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়লেও ইমিগ্রেশনের জন্য অবশ্যই আপনাকে বেশকিছু সময় আগে ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে ষ্টেশন পৌঁছাতে হবে। সকাল ৬ টা ১৫ মিনিট থেকে ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে ষ্টেশনে ইমিগ্রেশন শুরু হয়। ওয়েটিং লাউঞ্জ থেকে বহিগমন কার্ড সংগ্রহ ও পুরণ করে মূল ইমিগ্রেশন শেষ হলেই কেবলমাত্র ষ্টেশনের প্লাটফরমে যেতে পারবেন।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট মূল্য

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি সিট এবং এসি চেয়ার এই দুই ধরণের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক টিকেটের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান বাধতামূলক। ট্রাভেল ট্যাক্স সহ এসি সিটের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৩৪৩৫ টাকা এবং এসি চেয়ার টিকেটের মূল্য ২৪৫৫ টাকা।

এছাড়া ১ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য টিকেট মূল্যের উপর ৫০% ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টে উল্লেখিত জন্ম সাল ধরা হয়।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কোথায় পাবেন

ঢাকার কমলাপুর রেল ষ্টেশন ও চট্টগ্রাম রেল স্টেশন হতে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। এছাড়া কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কলকাতা হতে ঢাকায় আসার ট্রেনের টিকিট ২০ শতাংশ আসনের টিকেট কাটা যায়। আর বাকি ৮০ শতাংশ আসনের টিকিট কলকাতা ষ্টেশন কাউন্টারে পাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে ঢাকার টিকেট পাওয়া যায় কলকাতা টার্মিনাল স্টেশন ও ফেয়ারলীপ্লেস রেলওয়ে বিল্ডিং থেকে।

কখন ও কিভাবে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটবেন

অনলাইনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটা যায় না। ঢাকার কমলাপুর রেল ষ্টেশন হতে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট দেওয়া হয় এবং এর জন্য স্টেশনে আলাদা টিকেট কাউন্টার আছে। সাধারণত যাত্রার ৩০ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট কাটা যায়।

বাংলাদেশীদের ভারতের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই এন্ট্রি পোর্ট হিসাবে ‘রেল-দর্শনা দ্বারা’ উল্লেখ করতে হবে। আর ভারতের ক্ষেত্রে ‘রেল-গেদে দ্বারা’ উল্লেখ করতে হয়। কেবলমাত্র ভারতীয় ভিসা পেলেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন। ট্রেনের টিকেট কাটার সময় যাত্রীকে অবশ্যই পাসপোর্ট সাথে নিতে যেতে হবে। সেই সাথে যাত্রার দিন হতে নূন্যতম ৬ মাস পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে। একজন একসাথে ৩ টি টিকেট ক্রয় করতে পারবেন এবং অন্য যাত্রীদের অবশ্যই পাসপোর্ট সহযোগে টিকেট বুকিং-এর সময় স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।

ট্রেনে মালামাল পরিবহণের নিয়ম

প্রতি পূর্ণবয়স্ক যাত্রী সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের লাগেজ বিনামূল্যে সাথে পরিবহণ করতে পারবেন। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ২০ কেজি পর্যন্ত ফ্রি লাগেজ নেয়া যায়।

৩০ কেজির ওজনের বেশী লাগেজ নিতে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট হারে এক্সট্রা ফি প্রদান করতে হবে। ৩১ থেকে ৫০ কেজি ওজনের লাগেজের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি এক্সট্রা ফির পরিমাণ ২ ডলার এবং ৫০ কেজির উপর কেজি প্রতি এক্সট্রা ফি ১০ ডলার।

কূটনীতি

কলকাতা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস উন্নয়নের ব্যাপারটি ভারতের রাজধানী দিল্লির সাথে পাকিস্তানে লাহোরের সংযোগ স্থাপন করে যা সমঝোতা এক্সপ্রেস, তার সাথে সদৃশ। উভয় ট্রেন ই চালু করা হয় দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় জীবত করার উদ্দেশ্যে যেটা ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুটো ট্রেন ই ব্যবহার করা হয়েছে, মৈত্রী এক্সপ্রেস এর ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে এবং সমঝোতা এক্সপ্রেস এর ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান এর মধ্যে শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে।[৮]

বুকিং

কলকাতা টু ঢাকার টিকিট কাটতে হবে ডালহৌসীর ফেয়ারলি প্লেস রেলওয়ে বিল্ডিং বা চিতপুরের কলকাতা টার্মিনাল স্টেশনে গিয়ে। কলকাতা-ঢাকা ট্রেনের টিকিট আর কোথাও বিক্রি হয় না। ফেয়ারলি প্লেসে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয়। আর কলকাতা স্টেশনে টিকিট দেওয়া হয় স্টেশনের ২য় তলায় বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বুকিং এর সময় পাসপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। যদি সব যাত্রী টিকেট বুকিং করার সময় উপস্থিত না থাকে তাহলে একটি অনুমোদন চিঠির প্রয়োজন।

ঢাকা টু কলকাতার টিকিট কাটতে হবে কমলাপুর রেল স্টেশন বা চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে। এছাড়া টিকিট আর কোথাও বিক্রি হয় না। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয়। যাত্রার ২৯ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করা যায়। প্রত্যেক টিকিটের জন্য কাউন্টারে পাসপোর্টের মূলকপি (ফটোকপি নয়) দেখিয়ে ফরম নিতে হবে। এসময় ফরমে সিরিয়াল নম্বর লিখে দেওয়া হবে। তারপর ফরমটি পূরণ করে অপেক্ষা করতে হবে। সিরিয়াল অনুযায়ী ডাকা হবে টিকিট নেওয়ার জন্য। ভিসা না থাকলেও টিকিট দেওয়া হয় কাউন্টার থেকে। তবে ফিরতি টিকিটের জন্য ভিসা দরকার।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন ফর্ম সংগ্রহ করে সেটা পূরণ করুন। কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ট্রেনে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের ডিসএমবারকেশন কার্ড বা অবতরণপত্র বিতরণ করা হবে। সেটি পূরণ করবেন। ফরমে ঠিকানা ও ফোন নম্বরের জায়গায় আপনার হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিবেন। তবে যারা আত্মীয়ের বাসায় উঠবেন; তারা আত্মীয়ের পুরো নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিবেন।

ট্রেন থামার পর দ্রুত ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়ান। এ সময় ভারতীয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি ডিক্লারেশন ফরম দেওয়া হবে। সেটি পূরণ করবেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর মালপত্র স্ক্যানিং মেশিনে তুলে তল্লাশি করিয়ে বের হওয়ার আগে পূরণকৃত ফরমটি জমা দিতে হবে। চাকরিজীবীদের এনওসি সাথে রাখা জরুরি।

কলকাতা থেকে ঢাকা আসার সময় সকাল ৫টার মধ্যে কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছাবেন। কলকাতা স্টেশনে প্রথম কাজ হল ডিক্লারেশন ফরম নিয়ে তা যথাযথভাবে পূরণ করে ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ানো। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের এমবারকেশন কার্ড বা আরোহণপত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়া কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতার জন্য কেবিন যাত্রী ও চেয়ার কোচ যাত্রীদের জন্য আলাদা লাইন রয়েছে এ স্টেশনে।

ট্রাভেল ব্যাগের ওজন

একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি ৩৫ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা মাশুলে নিতে পারবেন দুটো লাগেজে। যদি বাচ্চা থাকে। তবে তার জন্য ২০ কেজি পর্যন্ত বিনা মাশুলে নিতে পারবেন সাথে। ৩৫ কেজির বেশি মালামালের ক্ষেত্রে ৩৫ কেজি থেকে ৫০ কেজি হলে প্রতি কেজিতে ২ ডলার করে মাশুল দিতে হবে প্রতি কেজিতে। তবে ৫০ কেজির বেশি হলে প্রতি কেজিতে ১০ ডলার করে মাশুল গুনতে হবে।

I'm Abu Bakkar, a committed full-time Digital Marketing Professional boasting 2+ years of hands-on experience. My skill set encompasses Social Media Backlinks, Backlinks, Local SEO, Directory Submission and Off-Page SEO.